সৃজনশীল বিষয়ে প্রয়োজনীয় টিপস্ (এস এস সি)
|
সৃজনশীল বিষয়ে প্রয়োজনীয় টিপস্
সুপ্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীবৃন্দ
এবার ৭টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তোমাদের। সৃজনশীল বিষয় নিয়ে তাই অনেকেই হয়তো দুশ্চিন্তার মধ্যে আছো। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বরং কিছু বিষয় ভালোভাবে জেনে নিলে দেখবে এ পরীক্ষাগুলোতেই তোমরা সবচেয়ে ভালো নম্বর পেয়েছ। তুমি ইচ্ছা করলেই এবার এই বিষয়গুলোতে অনেক বেশি নম্বর পেতে পারো। তোমরা ইতোমধ্যেই জেনেছ যে, সৃজনশীল পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন কৌশলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কতগুলো নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাস করার দিন শেষ হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীর ভালো ফল নির্ভর করবে বিষয় নিয়ে তার নিরন্তর চিন্তা ও লেখার চর্চার ওপর। পূর্ববর্তী পরীক্ষাপদ্ধতিতে প্রশ্নের উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখে উত্তর বড় করার বা উত্তরপত্র ভরানোর যে প্রবণতা প্রচলিত ছিল, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরে তার কোনো সুযোগ নেই। কেননা ১০ নম্বরে প্রতিটি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট যে ৪টি ধাপ আছে তার উত্তরেরও সুনির্দিষ্ট ৪টি ধাপ থাকবে। কাজেই সেভাবে প্রস্তুত হয়েই পরীক্ষায় উত্তর লিখতে বসবে। প্রথমেই বলে নিই সৃজনশীল প্রশ্নের (আগের রচনামূলক/Subjective অংশের) উত্তর প্রসঙ্গে-
১. সৃজনশীল পদ্ধতিতে সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত তোমার পাঠ্যসূচির কোন গদ্য/কবিতা/উপন্যাস/নাটকের শিখনফলের আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট চারটি প্রশ্ন থাকবে। যে গদ্য/কবিতার আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই গদ্য/কবিতা থেকেই থাকবে জ্ঞান এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। প্রশ্ন দুটির উত্তর উদ্দীপকে থেকে না হয়ে সরাসরি পাঠ্য বই থেকে করতে হবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন হবে উদ্দীপকের আলোকে।
২. সৃজনশীল অংশে মোট নয়টি প্রশ্ন থাকবে। তোমাকে উত্তর লিখতে হবে মোট ছয়টি প্রশ্নের। উত্তরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- কোনোক্রমেই একটি প্রশ্নের (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন) উত্তর লেখার ক্ষেত্রে ১৮ মিনিটের বেশি সময় নিলে তুমি বাকি প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে পারবে না। তাই ১৮ মিনিটের মধ্যেই যেন এক একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ করতে পারো সেদিকে নজর রাখবে বিশেষভাবে।
৩. এ পদ্ধতিতে একটি প্রশ্নের চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) তাই প্রত্যেক অংশের উত্তর লেখার সময় প্রতিবার আলাদা করে নম্বরটা লিখবে। যেমন : ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর করতে হলে- ৬ নম্বর প্রশ্নের ক এর উত্তর, ৬ নম্বর প্রশ্নের খ এর উত্তর, ৬ নম্বর প্রশ্নের গ এর উত্তর এবং ৬ নম্বর প্রশ্নের ঘ এর উত্তর এভাবে লিখলে ভালো। আর এ লেখাগুলো আলাদা রঙের (সবুজ/নীল) কালি দিয়ে লিখলে দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। কিংবা মার্কার (সবুজ/নীল কালির) দিয়ে আন্ডারলাইনও টানতে পারো।
৪. যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করলে তার চারটি অংশেরই ধারাবাহিকভাবে উত্তর লিখতে হবে। একটি প্রশ্নের জ্ঞানের উত্তর আরেক প্রশ্নের প্রয়োগের উত্তর এভাবে লেখা যাবে না। কোনো উত্তর যদি কেউ না পারো, সে ক্ষেত্রে সেটা বাদ দিয়ে তার পরের অংশের উত্তর লিখতে হবে।
৫. জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর এক। এ প্রশ্নের উত্তর হবে To the point, যা সঠিকভাবে লিখলে বরাদ্দকৃত ১ নম্বরের মধ্যে ১ নম্বরই পাওয়া যাবে। এ উত্তরটি পাঠ্যপুস্তক থেকে হুবুহু লেখার সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ এটি মুখস্তনির্ভর উত্তর। এর উত্তর একটি শব্দে একাদিক শব্দে বা একটি বাক্যে দেওয়া যাবে। তবে উত্তরটি একটি বাক্যে হলেই ভালো হয়। মনে রাখতে হবে, জ্ঞানমূলক প্রশ্নে যে তথ্যটা জানতে চাওয়া হয়েছে সেটার বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে। যেমন- স্বাধীনতা তুমি’ কবিতার রচয়িতা কে? এখানে শামসুর রাহমান’ এর নামের বানানটি ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে। আবার মকবুল বুড়োর মেয়ের নাম কী? এখানে হীরন’ বানানটি ভুল করলেই শূন্য পাবে।
৬. অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর দুই। এ উত্তরের জন্যেও কিছু তথ্য মুখস্থ রাখতে হবে। তবে পাঠ্যপুস্তক ভালো করে পড়া না থাকলে অনুধাবন স্তরের প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন হবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের দুই নম্বরের মধ্যে এক নম্বর জ্ঞানের জন্য, আরেকটি অনুধাবনের জন্য। তুমি ইচ্ছা করলে জ্ঞান অংশের উত্তর আগে অনুধাবনমূলক উত্তর পারে অথবা অনুধাবনমূলকের উত্তর আগে জ্ঞানমূলকের উত্তর পারে লিখতে পার। সতর্ক থাকতে হবে, মাত্র ২ নম্বরের উত্তরের অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয়ের অবতারণা যেন করা না হয়। শুধু অনুধাবনেই নয়, কোনোক্রমে কোনো প্রশ্নের উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক কথা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবে না।
৭. প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর তিন। এক নম্বর জ্ঞানে, এক নম্বর অনুধাবনে এবং এক নম্বর প্রয়োগে। তুমি প্রয়োজন অনুসারে প্রশ্নের উত্তরের আগে বা পরে যে কোনো জায়গাতেই জ্ঞান, অনুধাবন আর প্রয়োগের ব্যবহার করতে পারো। প্রয়োজন অনুসারে প্যারাও ব্যবহার করতে পারো, প্রয়োজন মনে না করলে নাও করতে পারো। এক প্যারাতে সবগুলো তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলে হবে। তবে দুই অথবা তিন প্যারা করতে পারো। প্রয়োগমূলক প্রশ্নে শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে, তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে শিখনফলের আলোকে তৈরি করা হয়েছে অর্থাৎ উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গদ্য/কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য থাকে সেটাই জ্ঞান। এই দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলেই এক নম্বর অর্থাৎ জ্ঞানের উত্তর হয়ে গেল। তারপর সেই দিক/প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। জ্ঞানসহ এটি লিখতে পারলে পেয়ে যাবে দুই নম্বর এবং সব শেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ। পূর্ণাঙ্গভাবে উত্তরটি লিখতে পারলেই তুমি পেয়ে যাবে তিন নম্বর।
৮. উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। এক নম্বর জ্ঞানে, এক নম্বর অনুধাবনে, এক নম্বর প্রয়োগে এবং এক নম্বর উচ্চতর দক্ষতায়। একইভাবে সবগুলো তথ্যের সুসংগঠিত সম্মিলনেই তৈরি হবে উচ্চতর দক্ষতার উত্তর। এ স্তরে এসে তোমাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা, মূল্যায়ন-দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করা হবে; কোনো কিছুর বিবরণ বা বর্ণনা প্রত্যাশা করা হবে না। অধিকন্তু কোনো বিষয়, ভাব, ব্যক্তি বা বস্তুর উপাদানগুলোর অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ তুলে ধরাই এ অংশের উদ্দিষ্ট। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ধরনের প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়, তাহলে কেন ভুল সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্য বইয়ের যে অংশটুকু মিল আছে তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে বক্তব্য/সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। বিচার-বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার নামই উচ্চতর দক্ষতা।
৯. শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেন এক অংশের উত্তর অন্য অংশে পুনরাবৃত্ত না হয়। পুনরাবৃত্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় নয়। তবে উত্তরের অনিবার্য প্রয়োজনে কোনো তথ্য পুনরাবৃত্ত হতে পারে।
এবার জেনে নাও বহুনির্বাচনি বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
সৃজনশীল পদ্ধতিতে মূল্যায়নের অংশহিসেবে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকে। এই বহুনির্বাচনি প্রশ্ন প্রকৃত শিখন প্রদর্শনে সক্ষম শিক্ষার্থীদেরকে সনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। একটি উন্নতমানের বহুনির্বাচনি প্রশ্নের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।
- প্রশ্নের শুরুতে সূচনা (stem) বা বিবৃতি বা উদ্দীপক থাকবে।
- উত্তর নির্বাচনে চারটি বিকল্প থাকবে: সঠিক বিকল্পটিকে বলা হয় সঠিক উত্তর। (key) এবং ভুল বিকল্পগুলোকে বলা হয় বিক্ষেপসমূহ (distractors)
- চিন্তন দক্ষতার সকল স্তরের প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
১. সাধারণ বহু নির্বাচনি প্রশ্ন (simple MCQ)
২. বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন (multiple completion question)
৩. অভিন্ন তথ্যভিত্তিক (situation set)
১. সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : এ ধরনের প্রশ্নের সূচনা প্রশ্নের আকারের বা অসম্পূর্ণ বাক্য হিসেবে দেওয়া হয়। যা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে, এর পরে চারটি বিকল্প উত্তর থাকে। যার একটিই সঠিক উত্তর অন্য তিনটি থাকে ভুল উত্তর। এক্ষেত্রেও সৃজনশীল প্রশ্নের মত জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা স্তরের প্রশ্ন করা হয়।
২. বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্ন : বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নটিতে একটি উদ্দীপক থাকে। উদ্দীপকের উপর ভিত্তি করে তিনটি তথ্য বা বিবৃতি থাকে এবং তথ্য বা বিবৃতির একটি কমা দুটি বা তিনটির সমন্বয়ে চারটি বিকল্প উত্তর তৈরি করা হয়। যা থেকে শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তরটির নির্বাচন করে। সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন শিক্ষার্থীর সকল দক্ষতা যাচাই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন হয় না।
৩. অভিন্ন তথ্যভিত্তিক : অভিন্ন তথ্যভিত্তিক প্রশ্নে একটি অভিন্ন তথ্য বা সাধারণ ভূমিকা থাকে। যা একটি অনুচ্ছেদ, টেবিল, ছক, মানচিত্র, ঘটনা প্রভৃতি হয়ে থাকে। এ অভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে সাধারণ বহুনির্বাচনি এবং বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নের সমন্বয়ে দুটি থেকে সর্বোচ্চ চারটি প্রশ্ন করা হয়। এ ধরনের প্রশ্নের অভিন্ন তথ্যাদি শিক্ষার্থীকে প্রশ্নোত্তরে প্ররোচিত করে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে প্রশ্নটি খুব মনোযোগের সঙ্গে পড়বে এবং উত্তরটি নির্ধারণ করবে। প্রশ্ন বুঝতে ব্যর্থ হলে উত্তর ভুল হয়ে যাবে। কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নিশ্চিতভাবে জানা না থাকলে তা নিয়ে সময় নষ্ট না করে তার উত্তরটি দিতে হবে জানা উত্তরটি শেষ করার পর। অজানা প্রশ্নের উত্তর দিবে গভীরভাবে ভেবেচিন্তে এবং কিছুটা অনুমান ভিত্তিক। উত্তর যদি ভুলও হয়ে যায় তার জন্য কোনো নাম্বার কাটা যাবে না। তাই সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হবে।
যেহেতু বল পয়েন্ট কলম দিয়ে উত্তরের বৃত্তটি ভরাট করতে হয়। তাই যথেষ্ট ভেবেচিন্তে উত্তরটি চিহ্নিত করতে হবে। ভুল করলে আর সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবে না। আর সবগুলো বৃত্ত ভরাট করার জন্যে প্রয়োজনীয় সময় হাতে রাখতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যে বিষয়ভিত্তিক টিপস্।(কম্পিউটার শিক্ষা)
![]() |
|
কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে প্রয়োজনীয় টিপস্
এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা। কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা। তত্ত্বীয় ৭০ নম্বর ও ব্যবহারিক ৩০। সুপ্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা তোমাদের জন্যে শুভেচ্ছা রইল। একটু যত্নসহকারে প্রস্তুতি নিলে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে সহজেই তোমরা ভাল নম্বর পেতে পারো। ভাল নম্বর পাবার লক্ষ্যে তোমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হলো :
১. কম্পিউটার শিক্ষা তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক দু’টি অংশ আছে। তত্ত্বীয় অংশে ৭০ ও ব্যবহারিক অংশে ৩০ নম্বর। তত্ত্বীয় অংশ আবার রচনামুলক ও নৈর্ব্যত্তিক দু’টি ভাগে বিভক্ত। মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকটি ভাগের জন্যে তোমাদের আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। নৈর্ব্যত্তিক অংশের জন্যে পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি লাইন বারবার পড়া প্রয়োজন। পড়ার সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নিচে দাগ দিয়ে রাখবে।
২. পরীক্ষায় উত্তর লেখার পূর্বেই প্রশ্ন নির্বাচন করে নিতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর নির্ভুলভাবে জানা আছে, ওই প্রশ্নগুলোই নির্বাচন করতে হবে।
৩. উত্তর লেখার সময় শিরোনাম দিতে হবে। উত্তরটি পয়েন্ট আকারে দিলে ভাল নম্বর পাওয়া নিশ্চিত হবে। উত্তরটি হবে সংক্ষিপ্ত তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সব তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উত্তরের ভাষা হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল। অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে চিত্র অঙ্কন করতে হবে।
৪. উত্তর লেখার সময় অবশ্যই মানবণ্টনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করতে হবে। তবে ভুল উত্তর দেওয়ার চেয়ে উত্তর না দেওয়া ভালো।
৫. গাণিতিক সমস্যার উত্তর করলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া সহজ হয়। তাই পরীক্ষায় যেসব প্রশ্নে গাণিতিক সমস্যা থাকবে, তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবে। যেমন- অধ্যায়-৪ (সংখ্যাপদ্ধতি ও কম্পিউটার লজিক)-এ অনেক গাণিতিক সমস্যা আছে। এ অধ্যায়টির সঠিক উত্তর লিখতে পারলে সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে।
৬. সংখ্যাপদ্ধতির অঙ্কগুলোয় ইংরেজি ও বাংলার মিশ্রণ করে থাকে অনেকেই। এ ধরনের মিশ্রণ না করা উচিত। বেস বা ভিত্তি লিখতে ভুল যেন না হয়, খেয়াল রাখবে। লজিক গেইটগুলোর প্রতীক সঠিকভাবে আঁকতে হবে।
৭. প্রতিটি অধ্যায়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন-উত্তরগুলোর সঙ্গে পাঠ্যবই পড়ে কী ধরনের প্রশ্ন হতে পারে সে সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা রাখতে হবে।
৮. পার্থক্য সংবলিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, ২ নম্বরের জন্য চারটি পার্থক্যই যথেষ্ট।
৯. গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো বারবার রিভাইস করবে এবং গাণিতিক সমস্যাগুলো দ্রুত উত্তর করতে বারবার অনুশীলন করবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্যে সাধারণ টিপস্
![]() |
|
পরীক্ষার খাতা
পরীক্ষার হলে তোমার খাতাটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা মনে রাখবে। তোমার জানা যাবতীয় বিষয় ওই খাতায় প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে দিতে হবে। তাই পরীক্ষার খাতার বিষয়ে খুবই যত্নশীল হতে হবে। প্রথম পাতায় রোল নম্বর, রেজি.নম্বর, বিষয় কোডের বৃত্ত সঠিকভাবে ভরাট করবে। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সেট কোডের বৃত্ত অবশ্যই সঠিকভাবে ভরাট করতে হবে। খাতার কোথাও যেন কালির দাগ না পড়ে।
হাতের লেখা
সুন্দর হাতের লেখা একটি সম্পদ। আবার হাতের লেখা সুন্দর হলেও যদি স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্ন না হয় তবে নম্বরও কম ওঠে। তাই শব্দের এবং লাইনের মধ্যে ফাঁক রেখে পরিচ্ছন্ন করে লিখতে হবে। যাতে সহজে পড়া যায়। কোনো শব্দ, লাইন বা অনুচ্ছেদ কেটে দিতে হলে হিজিবিজি করে নয় এক টানে পরিষ্কার করে কাটতে হবে। ভুল শব্দ বা বাক্যাংশের ওপর লিখে সংশোধন করলে খাতাটি নোংরা হয়ে ওঠে তাই এটি কখনই করবে না। এক্ষেত্রে কেটে দিয়ে ওপরে বা পাশে ঠিক শব্দ বসাবে।
প্রশ্ন নির্বাচন ও উত্তর
প্রশ্ন পাওয়ার পর বাছাইয়ের কাজটি সঠিকভাবে করা জরুরি। কোন প্রশ্নের উত্তর লিখবে আর কোন প্রশ্নটা বাদ দিলে সুবিধা তা তোমাকে প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে। যেসব প্রশ্নের পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়, জানা থাকলে সে ধরনের প্রশ্ন নির্বাচন করা উচিত। একই ধরনের প্রশ্ন হলে, যেটি ভালো জানা সেটি প্রথমে লিখবে। বেখেয়ালে কোনো প্রশ্ন বাদ রেখে এলে কি না, অথবা প্রশ্নের ভেতরের ছোট অংশগুলোর উত্তর দেওয়া বাদ গেল কি না সে বিষয়ে খুবই সাবধান থাকবে।
সময়ের দাম
সময় ধরে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিবে। প্রতিটি বিষয়ের বড় প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্যে কতটুকু সময় দিতে পারবে, তার হিসাব আগে থেকেই করে নেবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে জানা থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই লিখে শেষ করবে এতে করে যে সময় বাঁচবে তা অন্য প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগবে। দেখা গেল একটি প্রশ্নের উত্তরদানে অনেক বেশি সময় খরচ করে ফেললে পরে সময়ের অভাবে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে না বা দায়সারাভাবে উত্তর দিলে। এতে বেশ ক্ষতি হয়। বেশি সময় দিয়ে কোনো প্রশ্নের দু-এক নম্বর বাড়তি জুটলেও সময়ের অভাবে পাঁচ-ছয় নম্বর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ভালোজানা প্রশ্নের উত্তরদানে সময় বাঁচাতে পারলে, সে সময়টি এক্ষেত্রে কাজে দিবে।
সঠিকভাবে প্রশ্নের নম্বর দেওয়া
প্রশ্নের নম্বরটি বাঁ দিকে নির্ভুলভাবে অবশ্যই বসাবে। একটি প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকতে পারে। পৃথক প্রশ্নের উত্তর পৃথক অনুচ্ছেদে লেখা উচিত। আবার অনেক প্রশ্নেই (ক), (খ) অংশ থাকে। এক্ষেত্রে সেভাবে (ক), (খ) নম্বর লিখে তবেই উত্তর দেবে। যেমন : ১নং প্রশ্নের ‘ক’ এর উত্তর।
ঠিক বানান
উত্তরের সময় বানান অনেকেই ভুল করে। কাজেই সতর্কতা দরকার। যেসব বানান সচরাচর ভুল হয় সেগুলো বেশি করে অনুশীলন দরকার। বিখ্যাত আর পরিচিত নামের বানান যেন ঠিক থাকে। কবিদের নামের বানান ভুল করলে পরীক্ষক বিরক্ত হবেন। এতে তোমার নম্বরও কমে যেতে পারে। তোমার পাঠ্যবইয়ের গদ্য, সহপাঠের নাম এবং লেখকের নাম যেন ভুল না হয়।
কিছু যেন বাদ না যায়
একটি প্রশ্নের সকল অংশ জানা না থাকলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর ছেড়ে আসবে না। না পারলেও যতটা পারা যায় চেষ্টা করে লিখে আসবে। ব্যাখ্যাটা পারা যাচ্ছে না, কার লেখা, কোন গল্প থেকে এসেছে তা লিখলে দু-এক নম্বর মিলে যাবে। কোনো কোনো প্রশ্নের মধ্যে নানা অংশ থাকে। তার কোনো অংশ যেন বাদ না যায়।
ছক দেওয়া, চিত্র আঁকা
প্রশ্নের প্রয়োজনে যখনই পারবে ছক কিংবা চিত্র এঁকে তোমার উত্তরের গুণমান বাড়াবে, অবশ্য তাড়াতাড়ি আঁকার অভ্যাস থাকলেই এ কাজ পারবে। এতে করে বেশি নম্বর আসবেই। পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানের ছবি অবশ্যই দেবে। গণিতে উপপাদ্য ও সম্পাদ্যে নিখুতভাবে চিত্র অঙ্কন করবে। অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় ছক দেবে।
গণিতের রাফ কাজ
গণিতের ক্ষেত্রে খাতার বাঁ-পাশের পাতায় রাফ কাজ, হিসাবপত্র করতে হয়। রাফ কাজ শেষে সঠিকভাবে তোলার পর দুটো কোনাকুনি দাগ টেনে কেটে দেবে। অন্য বিষয়েও যখনই রাফ কাজ করবে, তা খাতাতেই করে পরিষ্কারভাবে কেটে দেবে।
রিভিশন দেওয়া
পরীক্ষায় রিভিশন দেওয়ার জন্যে অবশ্যই সময় রাখবে। যদি সময় করে পুরো খাতার রিভিশন করা যায়, খুব ভালো হয়। বেশ কিছু ভুল তাতে সেরে নেওয়া যাবে। গণিতের ক্ষেত্রে এ রকম রিভিশন অবশ্যই জরুরি। কারণ সামান্য একটি অক্ষর বা সংখ্যার জন্যে সম্পূর্ণ নম্বরই কাটা যেতে পারে।
সতর্কতা
গণিতে সতর্কতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সংখ্যার ক্ষেত্রে তিন এর জায়গা পাঁচ লিখলে উত্তর মেলবে না। +এর বদলে × ভাবলে বিপদে পড়বে। r বা x-কে n এর মতো না লিখে লিখার প্রতি যত্নশীল হও।
টেনশন করবে না
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো পরীক্ষায় ঘাবড়ে না গিয়ে টেনশন না করে শান্তভাবে পরীক্ষা দেবে। তা না-হলে জানা ও ভালোভাবে পড়া প্রশ্নের উত্তরও এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা দিবে।
উত্তরগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। তোমরা নিয়মিত অনুশীলন করে যাও দেখবে সাফল্য ধরা দেবেই। এ সময়টা তোমাদের জন্যে খুবই জরুরি তাই মানসিকভাবে তোমাদের অনেক শক্ত থাকতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্যে বেশ কিছু বিষয় তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
পরীক্ষার প্রশ্ন কী চাইছে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হবে। প্রশ্নের উত্তরগুলো লেখার সময় খেয়াল রাখবে, তা যেন পাঠ্যবই অনুসরণ করেই হয়। আর উত্তরগুলো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হতে হবে। বানান ভুল হওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। পরীক্ষার হলে সময় সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আর প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় খাতায় পর্যাপ্ত মার্জিন রেখো। যা লেখো স্পষ্ট করে লিখবে। প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি উত্তরের মানকে সমৃদ্ধ করে। যে বিষয়টি বেশি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যে রাত জাগা একেবারেই উচিত নয়। অভিভাবকদেরও শিক্ষার্থীদের খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
সিলেবাস অনুযায়ী সব অংশই শিখতে হবে
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তোমরা প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছো। বিশেষ করে প্রথম দিনের পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদেরও নিজস্ব পরিবেশ ছেড়ে সম্পূর্ণ একটি নতুন পরিবেশে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে অনেকে আতঙ্কগ্রস্থ ও ভয়ের মধ্যে থাকতে পার। এ সময়ে তোমাদের মধ্যে প্রচুর টেনশন কাজ করে। তাই তোমাদের প্রতি আমার উপদেশ, যতই আলাদা পরিবেশ হোক না কেন এটিকে নিজের প্রতিষ্ঠানের মতোই গ্রহণ করতে হবে। হাতে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখা বা উপস্থাপন করার প্রয়োজন নেই। নৈর্ব্যত্তিক অংশে খুব দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা বোকামি। বুঝে উত্তর দিতে হবে। আবার প্রশ্ন সহজে হয়েছে অথবা কমন পড়েছে এ ধরনের ব্যাপারে খুব উৎফুল্ল হওয়ারও প্রয়োজন নেই। এতে প্রশ্ন ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। প্রশ্ন কমন পড়েনি এমন ব্যাপারে মুষড়ে পড়ারও দরকার নেই। লিখতে লিখতে বিষয়গুলো মনে পড়বে। আর একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে, সিলেবাস অনুযায়ী সব অংশই শিখতে হবে। সিলেবাস অনুসারে পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। এতেই ফলাফল ভালো হবে বলে আমি মনে করি।
পাঠেই বেশি মনোনিবেশ করবে
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বলছি। তোমরা প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় সময়ের দিকে খেয়াল রাখবে। কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে তোমাদের উত্তর লেখা শেষ করবে। এতে যে সময়টুকু বেচে যাবে তা দিয়ে রিভিশনের জন্যে রাখবে। পরীক্ষার আগ মুহূর্তে তোমাদের অনেক শান্ত ও ধৈর্য ধরতে হবে। সামনে যেহেতু পরীক্ষা তাই পাঠেই বেশি মনোনিবেশ করবে। পরীক্ষার আগের রাতে বেশি পড়ার দরকার নেই। এ সময় অনেকে রাত জাগে। বেশি রাত না জেগে ভোরে উঠতে পারলে অনেকক্ষণ পড়া যায়। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেজাজটাও থাকে ফুরফুরে। এ সময় অভিভাবকের অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সন্তানের লেখাপড়া, খাওয়া ও ঘুমের যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে তাদেঁর লক্ষ্য রাখতে হবে। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করবে। আগের পরীক্ষা নিয়ে মন খারাপ করে থাকলে পরের পরীক্ষাও খারাপ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা ওএমআর ফরম পূরণ করার সময় সবসময় সতর্ক থাকবে। ভুল করা যাবে না। আর যাই লেখো, তা স্পষ্ট করে লিখবে। এতে পরীক্ষক খুশি হন। উত্তর লিখবে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে মিল রেখে। তোমার জানা ভালো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা শুরু করতে পারো।
উত্তরপত্র ভাঁজ না করে মার্জিন টানতে হবে
পরীক্ষার আগে এখন তোমাকে সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বারবার পড়া এবং লেখার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ভয় না করে পরীক্ষাকে স্বাভাবিক ক্লাস পরীক্ষার মতো বিবেচনা করতে হবে। পরীক্ষার রাতে অধিক রাত না জেগে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়তে হবে। পরীক্ষার দিন যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। খেয়াল করতে হবে, কোনো কিছু বাদ পড়ল কিনা। উত্তরপত্রের কভার পৃষ্ঠার প্রথম অংশের বৃত্তগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কখনোই অন্যের সেট কোড পুরণ করা দেখে নিজের উত্তরপত্র পূরণ করার চেষ্টা করা যাবে না। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে হতাশ না হয়ে বেশ কয়েকবার পড়তে হবে। সে প্রশ্নগুলো লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে সে ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে লিখতে হবে। অনেকেই উত্তরপত্রে ভাঁজ দিয়ে থাকে। এটা না করে মার্জিন টানতে হবে। লেখা শেষে আবার পড়ে দেখতে হবে। পরীক্ষার হল ত্যাগের আগে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হবে।
কখনোই আংশিক প্রশ্ন পড়ে উত্তর শুরু করবে না
এসএসসি শিক্ষার্থীরা তোমাদেরকে শুভেচ্ছা। এবার বাংলা ১ম পত্র, ধর্মশিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান, ভুগোল, ব্যবসায় পরিচিতি, রসায়ন বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকছে, তাই এগুলোর উত্তর করার সময় প্রশ্নগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে।
অনেক শিক্ষার্থীকে দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর অযথা বড় করতে গিয়ে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় উত্তর নিয়ে আসে। এতে করে পরীক্ষক যেমন বিরক্ত বোধ করেন তেমনি তা লিখতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটাকে পরিহার করবে। প্রশ্নে যা যা চাওয়া হয়েছে ঠিক তাই উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর শুরু করার আগে প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে। কখনোই আংশিক প্রশ্ন পড়ে উত্তর লেখা শুরু করবে না। আর সব সময় চেষ্টা করবে উত্তরগুলো যাতে ধারাবাহিকভাবে হয়। উত্তরপত্রে উত্তর লেখার সময় প্রশ্নের নম্বর লিখে নিচে দাগ টেনে দেবে। খাতার চারপাশে পর্যাপ্ত মার্জিন রেখে নেবে। প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গভাবে উত্তর লিখতে হবে। আর উত্তরগুলো অনুচ্ছেদ করে লিখতে হবে। এতে করে পরীক্ষকের মুল্যায়ন ভালো হবে।
প্রত্যেকটা প্রশ্নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে লিখবে
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা শুভেচ্ছা রইল। এসএসসি পরীক্ষা তোমাদের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষা নিয়ে আসলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রশ্নপত্র হাতে পেলে তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে নেবে। প্রশ্নের যদি তোমার অজানা কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাতে মন খারাপ করার কিছু নেই।
এতগুলো প্রশ্নের মধ্যে দুই-একটা তোমার অজানা থাকতেই পারে। যে প্রশ্নটার উত্তর তুমি ভালো পার সেটা দিয়ে শুরু করবে। পরীক্ষা হলে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হাতে নিয়ে প্রশ্নের মানের সঙ্গে সময়টা ভাগ করে নেবে। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্যে আলাদা সময় নিলে তোমার কোনো প্রশ্নই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। তবে সময় ভাগ করার আগে অবশ্যই ১৫ মিনিট সময় হাতে রেখে নিবে। সময় ভাগ করে প্রত্যেকটা প্রশ্নকে সমান গুরুত্ব দিয়ে লিখবে। এতে করে পরীক্ষক যখন তোমার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন তখন তোমার খাতা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা জন্মাবে। ফলে তুমি ভালো নম্বর পাবে। পরীক্ষার খাতায় লেখা শেষ হলে খাতা রিভিশন না দিয়ে জমা দেবে না। রিভিশনে অনেক ছোটখাটো ভুল ধরা পড়বে।
ভালো প্রস্তুতির প্রমাণ রাখতে হবে পরীক্ষার খাতায়
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল জরুরি। আর ভালো ফলাফলের জন্যে শুধু ভালো প্রস্তুতি থাকলেই চলবে না। ভালো প্রস্তুতির প্রমাণ রাখতে হবে পরীক্ষার খাতায়। ভালো ফলাফলের জন্যে পরীক্ষার খাতায় অবশ্যই সুন্দর উপস্থাপনা জরুরি। সুন্দর উপস্থাপনা বলতে পরীক্ষার খাতার সার্বিক পরিচ্ছন্নতা, নির্ভুল, মানসম্মত ও যথাযথ উত্তর লেখাকেই বোঝায়। খাতার ওপরে ও বাম দিকে পেনসিল বা বল পয়েন্ট কলম দিয়ে এক ইঞ্চি পরিমাণ মার্জিন দিতে হবে। প্রতিটি উত্তর শেষ হলে সরলরেখার সমাপ্ত চিহ্ন দিতে হবে। যে প্রশ্নের উত্তরগুলো উচ্চমানসম্পন্ন এবং সবচেয়ে ভালো মনে আছে, সেগুলোই আগে লিখতে শুরু করবে। তবে চেষ্টা করবে প্রশ্নের উত্তর যেন ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়। হাতের লেখা স্পষ্ট এবং সুন্দর করার চেষ্টা করবে। উত্তরপত্রে বেশি কাটাকাটি করবে না। পরীক্ষার হলে যে কলমগুলো তুমি ব্যবহার করবে, সেগুলো বাসায় দু-এক দিন ব্যবহার করে স্বাভাবিক করে নিতে পার। মনে রাখবে, একদম নতুন কলম দিয়ে দ্রুত লেখা যায় না। উত্তরপত্রে বেশি কাটাকাটি না করে লেখার কোনো অংশ কাটতে হলে তা একটানে কাটবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর মানসম্পন্ন করতে চেষ্টা করবে। তাতে করে পরীক্ষক যখন মূল্যায়ন করবেন তখন তাঁর তোমার খাতা সম্পর্কে ভালো ধারণা জন্মাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি, চার্ট, চিত্র ইত্যাদির ব্যবহার করতে ভুল করবে না। এগুলো উত্তরের মান বহুলাংশে বাড়ায়। মনে রাখতে হবে, পরীক্ষার খাতায় ভালো উপস্থাপনাই বেশি নম্বর পেতে সহায়তা করে। তোমাদের পরীক্ষা ভালো হোক এই কামনায় শেষ করছি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Lorem
Please note:
Delete this widget in your dashboard. This is just a widget example.
Ipsum
Please note:
Delete this widget in your dashboard. This is just a widget example.
Dolor
Please note:
Delete this widget in your dashboard. This is just a widget example.